আমাদের ক্রিকেটের বলা যায় প্রথম সুপারস্টার ! আর যদি বলা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটার , তাহলে বোধহয় একটূও বাড়িয়ে বলা হবে না ! বা...
আমাদের ক্রিকেটের বলা যায় প্রথম সুপারস্টার ! আর যদি বলা হয় বাংলাদেশের
সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটার , তাহলে বোধহয় একটূও বাড়িয়ে বলা হবে না !
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৩৩ টি টেস্ট , ১২৫ টি ওয়ানডে এবং ১টি টি২০ ম্যাচ !
৩৩টেস্টে নিয়েছেন ১০০ টি উইকেট ও করেছেন ১০৫৯ রান !
১২৫ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১২৫ উইকেট ও করেছেন ১১৯১ রান !
রফিক বুড়িগঙ্গায় সাঁতার কেটে বড় হওয়া ছেলে। সেই ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের নিয়ে নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাঁতার কেটে যাওয়াই তাকে ফিট রাখত। স্টিমারে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেওয়াটা ছিল তার নেশা।জাতীয় দলে খেলার সময়ও নদীতে নিয়মিত সাঁতার কাটা ছিল তার রুটিন ।
অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছেন। তার বাবা ইদ্রিস রহমান রঙের ব্যবসা করতেন। ার ক্লাস টুতে পড়ার সময়ই উনি মারা যান। তিন ভাই ও দুই বোনের সংসার তার মা মনোয়ারা বেগম খুব কষ্ট করে চালিয়ে নিতেন।
স্কুল ফাঁকি দেওয়ায় ছিলেন ওস্তাদ। ক্লাসে না গিয়ে এলাকার আগানগর মাঠে পড়ে থাকতেন। সারা দিন খেলে আবার ঠিক সময়ে বাসায় ফিরতেন ! লেখাপড়ায় মেট্রিকের কাছাকাছি পর্যন্ত গিয়েছিলেন। ক্রিকেট না খেললে আজ মোহাম্মদ রফিক কী করত, সেটা তিনি নিজেও জানতেন না।
লালবাগে জাতীয় দলের সাবেক পেসার জাহাঙ্গীর তালুকদার বিপক্ষে একটি ম্যাচে খেলতে গিয়েই তাঁর নজরে পড়ে যান , তার কথায় বিমানের ট্রায়ালে যান এবং তাদের সন্তুষ্ট করে দলে টিকে যান , পান পঞ্চাশ হাজার টাকা ।
বিমানে প্রথম দু-তিন বছর পেসার হিসেবেই খেলেছেন। জাহাঙ্গীর তালুকদার এর সঙ্গে বোলিং ওপেনও করেছেন। অনেক জোরে বল করতেন , এরপর পাকিস্থানী ক্রিকেটার ওয়াসিম হায়দার এর পরামর্শে শুরু করেন স্পিন বোলিং ।
এরপর ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফির জন্য তখনকার কোচ মহিন্দার অমরনাথের ক্যাম্পেও থাকলেও দলে সুযোগ পাননি। পরের বছর শারজায় এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে হয় আন্তর্জাতিক অভিষেক। প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটটি শচীন টেন্ডুলকারের। তাঁকে বোল্ড করেছিলেন। এরপর আইসিসি ট্রফি জয়ে অবদান রেখেছেন। খেলেছেন দেশের প্রথম বিশ্বকাপ এবং অভিষেক টেস্টেও।
বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ে রাখেন অনবদ্য ভুমিকা , ওপেন এ নেমে করেন ৭৭ রান আর বল হাতে নেন তিন উইকেট !
এরপর টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেন ১০০ উইকেট , একটা বিষয় তখন প্রায় প্রতি ম্যচেই সুযোগ পেতেন মাত্র এক ইনিংসে বল করার , বাংলাদেশ যে হারত ইনিংস ব্যবধানে !!
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই কিংবদন্তী ক্রিকেটার ! আক্ষেপ করেন অন্তত আরো ২-৩ বছর খেলতে পারতেন টেস্ট ক্রিকেট ।
এখন তিনি প্যান্টের ব্যাবসা ও ঢেউটিনের ব্যাবসা করেন ।
আমার শৈশবের সবচেয়ে বড় হিরো রফিক ভাই ই
শুভ জন্মদিন রফিক ভাই
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৩৩ টি টেস্ট , ১২৫ টি ওয়ানডে এবং ১টি টি২০ ম্যাচ !
৩৩টেস্টে নিয়েছেন ১০০ টি উইকেট ও করেছেন ১০৫৯ রান !
১২৫ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১২৫ উইকেট ও করেছেন ১১৯১ রান !
রফিক বুড়িগঙ্গায় সাঁতার কেটে বড় হওয়া ছেলে। সেই ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের নিয়ে নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাঁতার কেটে যাওয়াই তাকে ফিট রাখত। স্টিমারে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেওয়াটা ছিল তার নেশা।জাতীয় দলে খেলার সময়ও নদীতে নিয়মিত সাঁতার কাটা ছিল তার রুটিন ।
অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছেন। তার বাবা ইদ্রিস রহমান রঙের ব্যবসা করতেন। ার ক্লাস টুতে পড়ার সময়ই উনি মারা যান। তিন ভাই ও দুই বোনের সংসার তার মা মনোয়ারা বেগম খুব কষ্ট করে চালিয়ে নিতেন।
স্কুল ফাঁকি দেওয়ায় ছিলেন ওস্তাদ। ক্লাসে না গিয়ে এলাকার আগানগর মাঠে পড়ে থাকতেন। সারা দিন খেলে আবার ঠিক সময়ে বাসায় ফিরতেন ! লেখাপড়ায় মেট্রিকের কাছাকাছি পর্যন্ত গিয়েছিলেন। ক্রিকেট না খেললে আজ মোহাম্মদ রফিক কী করত, সেটা তিনি নিজেও জানতেন না।
লালবাগে জাতীয় দলের সাবেক পেসার জাহাঙ্গীর তালুকদার বিপক্ষে একটি ম্যাচে খেলতে গিয়েই তাঁর নজরে পড়ে যান , তার কথায় বিমানের ট্রায়ালে যান এবং তাদের সন্তুষ্ট করে দলে টিকে যান , পান পঞ্চাশ হাজার টাকা ।
বিমানে প্রথম দু-তিন বছর পেসার হিসেবেই খেলেছেন। জাহাঙ্গীর তালুকদার এর সঙ্গে বোলিং ওপেনও করেছেন। অনেক জোরে বল করতেন , এরপর পাকিস্থানী ক্রিকেটার ওয়াসিম হায়দার এর পরামর্শে শুরু করেন স্পিন বোলিং ।
এরপর ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফির জন্য তখনকার কোচ মহিন্দার অমরনাথের ক্যাম্পেও থাকলেও দলে সুযোগ পাননি। পরের বছর শারজায় এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে হয় আন্তর্জাতিক অভিষেক। প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটটি শচীন টেন্ডুলকারের। তাঁকে বোল্ড করেছিলেন। এরপর আইসিসি ট্রফি জয়ে অবদান রেখেছেন। খেলেছেন দেশের প্রথম বিশ্বকাপ এবং অভিষেক টেস্টেও।
বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ে রাখেন অনবদ্য ভুমিকা , ওপেন এ নেমে করেন ৭৭ রান আর বল হাতে নেন তিন উইকেট !
এরপর টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেন ১০০ উইকেট , একটা বিষয় তখন প্রায় প্রতি ম্যচেই সুযোগ পেতেন মাত্র এক ইনিংসে বল করার , বাংলাদেশ যে হারত ইনিংস ব্যবধানে !!
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই কিংবদন্তী ক্রিকেটার ! আক্ষেপ করেন অন্তত আরো ২-৩ বছর খেলতে পারতেন টেস্ট ক্রিকেট ।
এখন তিনি প্যান্টের ব্যাবসা ও ঢেউটিনের ব্যাবসা করেন ।
আমার শৈশবের সবচেয়ে বড় হিরো রফিক ভাই ই
শুভ জন্মদিন রফিক ভাই