তোকে শৈশবে ক্লাস রুমে দেখেছিলাম প্রথম, পাগলী একটা মেয়ে পাগলামী করছিলি সারাক্ষণ।।কেমন যেন ভাল লেগে গেল।।তখন বুঝিনি অনুভূতি কি।।তারপর তোর...
তোকে শৈশবে ক্লাস রুমে দেখেছিলাম প্রথম, পাগলী একটা মেয়ে পাগলামী করছিলি সারাক্ষণ।।কেমন যেন ভাল লেগে গেল।।তখন বুঝিনি অনুভূতি কি।।তারপর তোর সাথে কেটে গেল একটি বছর ।ঐ একটি বছরে কত পাগলামো ।। একসাথে ক্লাস, দুপুরে খাবার, ক্লাসে দুষ্টোমি , একসাথে কোটবাড়ি পিকনিকে যাওয়া...আরও কত কি।।ঐবছরের শেষ,তারপর আমার সাথে আর কথা হয়নি তোর ।। পরের বছর গুন্ডি রুপে তোর গুরুপ নিয়ে একদিন বাসায় এসে ঝেড়ে গিয়েছিলি আমাকে ।। ঐ শেষ দেখা আমাদের ।।
Love Story |
কৈশরে ঘুম ভেঙ্গে যেত মাঝরাতে তোকে স্বপ্নে দেখে।। সারাদিন ভাবতাম কেনো এমন হচ্ছে। ধিরে ধিরে স্বপ্নগুলো ভাল লাগতে শুরু হলো।। ঠিক করলাম এবার তোকে খুঁজে বের করতেই হবে। পুরনো সব জায়গায় খুঁজছি তোকে পাইনি।। তারপর কুমিল্লা সবকটা গ্লার্স স্কুলের সামনে আড্ডার নামে তোকে খুঁজা শুরু হয়ে গেল।। একটা সময় কোনভাবে জানতে পরলাম, মর্ডানে পড়ে শ্যামা নামের একটা মেয়ে ।। নামটা একটু ভিন্ন রকম হওয়াতেই হয়ত খুব তাড়াতাড়ি মাত্র পাঁচটা বছব পর তোকে খুঁজে পাওয়ার একটা আসার আলো দেখতে পেলাম।।
তোর ক্লাসের তমা মেয়েটাকে দিয়ে ফোন নাম্বার পাঠিয়েছিলাম , তাই ফোনটা হাতেই থাকতো সারাক্ষণ। কিন্তু কল আর আসেনি কোন দিন ফোনে।তারপর বন্ধু জনিকে দিয়ে মর্ডান স্কুলের সবকটি ব্যান্সে সাইন পেন দিয়ে লিখিয়েছিলাম "শ্যামা তুমি কোথায়..আমি জুম্মান তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,এই নাম্বারে যোগাযোগ কর।" এসব করার পরও কল আসেনি আমার ফোনে।। আম্মুকে সাথে নিয়ে খুঁজে বেড়িয়েছি তোকে শপিংমলে ।বন্ধুদের সাথে খুঁজে বেড়িয়েছি তোকে কোচিং সেন্টারে সেন্টারে।
সুমন স্যারের বাসার নিচে । দূর থেকে দেখেছিলামও একবার নীল জামা পড়া মানবীকে।। ঐদিনের চাহনিটা আজও চোখে ভাসে । রাঙ্গা চোখে একবার তাকিয়ে চলে গিয়েছিলে।। ঐদিন ডাকা হলোনা আর সাহস করে ।। উল্টো দিকে চুল আঁচড়িয়ে ব্র্যান্ডের শার্ট গায়ে দেবার পরেও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি তোর।। তখন তোকে আমার রানী এলিজাবেথ মনে হয়েছিল।।
টাওন হলে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসবি ভেবে দুপুর ১২ টার পোগ্রামে আমি সকাল ৯ টা থেকেই অপেক্ষা করছিল। দুপুর ৩ টার পর তোকে না পেয়ে বাসায় ফিরে যাই। পরে শুনলাম তুই পোগ্রামের শেষ সময়ে এসেছিলি।। আর দেখা হলোনা আমাদের।।
শুনেছিলাম ঢাকায় একটা কলেজে ভর্তি হয়েছিলি।। তাই তোকে খুঁজতে , না বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে অনেকবার ঢাকা যাওয়া ।।
তোর ক্লাসের তমা মেয়েটাকে দিয়ে ফোন নাম্বার পাঠিয়েছিলাম , তাই ফোনটা হাতেই থাকতো সারাক্ষণ। কিন্তু কল আর আসেনি কোন দিন ফোনে।তারপর বন্ধু জনিকে দিয়ে মর্ডান স্কুলের সবকটি ব্যান্সে সাইন পেন দিয়ে লিখিয়েছিলাম "শ্যামা তুমি কোথায়..আমি জুম্মান তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,এই নাম্বারে যোগাযোগ কর।" এসব করার পরও কল আসেনি আমার ফোনে।। আম্মুকে সাথে নিয়ে খুঁজে বেড়িয়েছি তোকে শপিংমলে ।বন্ধুদের সাথে খুঁজে বেড়িয়েছি তোকে কোচিং সেন্টারে সেন্টারে।
সুমন স্যারের বাসার নিচে । দূর থেকে দেখেছিলামও একবার নীল জামা পড়া মানবীকে।। ঐদিনের চাহনিটা আজও চোখে ভাসে । রাঙ্গা চোখে একবার তাকিয়ে চলে গিয়েছিলে।। ঐদিন ডাকা হলোনা আর সাহস করে ।। উল্টো দিকে চুল আঁচড়িয়ে ব্র্যান্ডের শার্ট গায়ে দেবার পরেও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি তোর।। তখন তোকে আমার রানী এলিজাবেথ মনে হয়েছিল।।
টাওন হলে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসবি ভেবে দুপুর ১২ টার পোগ্রামে আমি সকাল ৯ টা থেকেই অপেক্ষা করছিল। দুপুর ৩ টার পর তোকে না পেয়ে বাসায় ফিরে যাই। পরে শুনলাম তুই পোগ্রামের শেষ সময়ে এসেছিলি।। আর দেখা হলোনা আমাদের।।
শুনেছিলাম ঢাকায় একটা কলেজে ভর্তি হয়েছিলি।। তাই তোকে খুঁজতে , না বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে অনেকবার ঢাকা যাওয়া ।।
তোকে খুজতে ঢাকা যাচ্ছিলাম ট্রেনে।। চা খেতে খেতে, ট্রেনের ম্যাগাজিনে কল্পনা করেছিলাম স্টেশনে তুই দাড়িয়ে আছিস আমার অপেক্ষায়।।
ফিরতি ট্রেনে তোকে সেডনেস গানের হেডফোনে খুজেছিলাম।
ফিরতি ট্রেনে তোকে সেডনেস গানের হেডফোনে খুজেছিলাম।
রোজ রাতে অঞ্জনের লিরিকে, একস্টিক গানে খুঁজে পেতাম তোকে।।
ফেইসবোক আসলো । ২০০৯ সালে একাউন্ট খোলা তোকে খুঁজার উদেশ্যে । শ্যামা নামের মেয়েদের ফেন্ডরিকুয়েস্ট পাঠানো শুরু। কারো সাথে মিলছে শ্যামাকে । হঠাৎ ২০১১ প্রথম দিকে শ্যামা নামে একটি মেয়েকে এফবি তে পেলাম , কেমন যেনো খুব পরিচিত , আপন আপন লাগছে।। প্রফাইল পিকটা আম্মুকে দেখলাম ।আম্মু বল্ললো এটাই শ্যামা। ফেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালাম।। যখন তোকে ফ্রন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালাম তখন আমার আইডি তে শ্যামা নামের ৭৬৫ টা মেয়ে এড ছিল।। ফ্রন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করিসনি তুই।। আমি ভাবলাম আমি ভার্সিটির জন্য ঢাকায় ভর্তি হব , তুই ঢাকা আসিস বলে।।২০১১সাল ঢাকা থাকা শুরু । ভার্সিটির নতুন ছাত্র।। ২০১১ নভেম্বের ১৭ তারিখ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করলি ।। সাথে সাথে এসএমএস দিলি তুই "তুমিই কি আমার স্কুল ফ্রেন্ড জুম্মান?"আমি খুব খুঁশি হলাম তুই আমাকে এভাবে মনে রেখেছিস বলে।। আমার নাম্বারটা তুই চাইলি তারপর ঐদিনই আমাদের কথা হলো প্রায় ১০ বছব পরে।। তখনকার আমার অনুভূতিটা আমি বলে বুঝাতে পারবোনা।। কথা বলে জানতে পারলাম এতদিন এফবি তে ডোকা হয়নি আজই লগইন করে প্রথমেই আমার সাথে কথা।।
২০১২ জানুয়ারির ১০ । ১০ বছর পর আমাদের প্রথম দেখা।। সেদিন আমি সহ্যের বাইরে এক মানবী দেখেছিলাম।।
তারপর রোজ সারাদিন কথা বলা প্রায়ই দেখা করা। লাল লিপিস্টিকে দেখেছি তোকে,নীল লিপিস্টিকে দেখেছি তোকে, অরেন্জ লিপিস্টিকে দেখেছি তোকে, লিপিস্টিক ছাড়া দেখেছি তোকে।।
তুই কি জানিস!তোকে সাজলে ভাল লাগে আবার না সাজলে তোকে অসাধারন লাগে।।
তোকে খুব সুন্দর লাগে আযানের সময় মাথায় ওড়না দিলে।
তোকে একটা একটা কথা বলতে ভাল লাগে,অনেক কথা একটা করতে ভাল লাগে।। তোকে কাঁদবোনা ভেবে কেঁদে ফেললে ভাল লাগে।।
তুই কি জানিস!তোকে সাজলে ভাল লাগে আবার না সাজলে তোকে অসাধারন লাগে।।
তোকে খুব সুন্দর লাগে আযানের সময় মাথায় ওড়না দিলে।
তোকে একটা একটা কথা বলতে ভাল লাগে,অনেক কথা একটা করতে ভাল লাগে।। তোকে কাঁদবোনা ভেবে কেঁদে ফেললে ভাল লাগে।।
২০১২ মে ৭ নতুন করে প্রেম শুরু।। তোকে পেয়ে একটা ব্যাপার বোঝতে পারি খুব ভাল ভাবে যে "ভালবাসলেই হয়না, ভালবেসে যেতে হয়। তাহলেই ভালবাসা পাওয়া যায় ।"
আমি ক্ষণে ক্ষেণে নতুন করে তোর প্রেমে পরি ।।আজও পরি।। এভাবে সময় চলতে লাগলো।।
আমি ক্ষণে ক্ষেণে নতুন করে তোর প্রেমে পরি ।।আজও পরি।। এভাবে সময় চলতে লাগলো।।
সময়ে যেতে যেতে এভাবে যে ছয়টি বছর কেটে যাবে ভেবে দেখিনি কখনও।।
২০১৬ সেপ্টেম্বর ১৬।। এই দিনে এভাবে তোকে আপন করে বউ হিসেবে পাবো আগে ভাবিনি।।
আল্লাহর কাছে এদিনে হাজারও শুকরিয়া।।
জীবনের বাকি দিনগুলো যেনো আমাদের ভাল কাটে শুধু এটুকু চাওয়া আল্লাহর কাছে।।
আল্লাহর কাছে এদিনে হাজারও শুকরিয়া।।
জীবনের বাকি দিনগুলো যেনো আমাদের ভাল কাটে শুধু এটুকু চাওয়া আল্লাহর কাছে।।
শেষে শুধু এটুকু বলি ,"তোকে নালিশ করব , শাসন করব।। মুড়ি চানাচুর মেখে দু'জন মুভি দেখব। তোকে বৃদ্ধ বয়সে আকাশ দেখাব।। প্রেরেসক্রিপশন দেখে ওষুধ খাওয়াব। বৃদ্ধ বয়সে গান শোনাব তোকে তোর পছন্দের এ্যালবাম থেকে।।।